দীর্ঘ আট বছর পর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনকে ঘিরে পুরো শহর ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেষ্টুন ও তোরণে। কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রার্থীর ছবিসহ ব্যানার ফেস্টুন টানানো হয়েছে রাস্তার দু’পাশে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হওয়ায় উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের স্বাগত জানাতে ধুলিয়াখাল থেকে শুরু করে সম্মেলনস্থল পর্যন্ত ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। আবার যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে কেন্দ্রে জোর লবিং ও তদবির শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
এবার সভাপতি পদে যারা প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন তারা হলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাশেম চৌধুরী, শফিকুজ্জামান হিরাজ ও বিপ্লব রায় চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা হলেন, জেলা যুবলীগ নেতা তাজ উদ্দিন আহমেদ, মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, ডা. ইশতিয়াজ রাজ চৌধুরী, সাইদুর রহমান, মহিবুর রহমান মাহী ও আব্দুর রহিম কাওছারসহ আরও অনেকেই।
এর আগে সবশেষ ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন আতাউর রহমান সেলিম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বুরহান উদ্দিন চৌধুরী।
হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম বলেন, হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষের দিকে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের স্বাগত জানাতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে রয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম হবে। জেলার ১০টি ইউনিটের ৩৫১জন ভোটার রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে আগামীর জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব।