আজ হোয়াইটওয়াশের মিশনে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ পকেটে পুরেছেন সাকিব আল হাসানরা। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে টাইগাররা।

বাংলাদেশের সামনে সুযোগ প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেওয়ার। অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজ জেতা ইংলিশদের লক্ষ্য শেষটা জয়ে রাঙিয়ে হোইওয়াটওয়াশের লজ্জা এড়ানো।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ বিকেল ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে। গাজী টেলিভিশন ও টি-স্পোর্টস ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

বাংলাদেশ দুই বা ততোধিক সিরিজে প্রথমবার খেলে ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম তিন ম্যাচের সিরিজেই প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করে। এরপর অপেক্ষা করতে হয়েছে লম্বা সময়। ৭ বছর অপেক্ষার পর ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে ২-০ ব্যবধানে। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয় আরব আমিরাতকে। তাদের সামনে আরও একবার সেই সুযোগ। এবার প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার ইংলিশদের হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো ‘বড়’ কোন দলকে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করবে। বাংলাদেশও নিশ্চিতভাবে চাইবে তেমনটা করতে।

শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে নির্ভার দেখা গেছে। ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকায় সাকিব মাগুরায় ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন। তার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদও। বাকিদের মধ্যে কেউ কেউ হোটেলে বিশ্রাম করেছেন। যারা মাঠের অনুশীলনে এসেছিলেন, তারা সবাই ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। তার পরেও শেষ ম্যাচটিতে জয়ের জন্যই বাংলাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়বে।

সিরিজ জয়ের ম্যাচে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো। আপনি দেখেন আমরা কিন্তু জেতার জন্যই নামি। কিন্তু জেতার আগে কিছু প্রসেস আছে, সেটা অনুসরণ করতে হয়। যদি প্রসেস থেকে বেরিয়ে যাই তাহলে কখনও জিততে পারবো না। যেভাবে চলছি, ওইভাবেই চেষ্টা করবো।’

সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও একাদশে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণই বলা চলে। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনা। কেননা ইংলিশদের হোয়াটওয়াশ করার সুযোগ কোনওভাবেই স্বাগতিকরা হাতছাড়া করতে চাইবে না। তবে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করলে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের জায়গায় দেখা যেতে পারে তানভীর ইসলামকে।

এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ইংলিশ গণমাধ্যমে প্রবল সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে সফরকারীদের। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের শক্তির গভীরতা সম্পর্কে জানার পরও সফরকারীরা তাদের হালকা ভাবে নিয়েছে বলে দাবি সাবেকদের। যদিও এমন প্রশ্নকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তার মতে, বাংলাদেশ মাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে।

এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরাজয়ের হতাশা পেছনে ফেলে শেষ ম্যাচটি জিততে মরিয়া ইংল্যান্ড। জস বাটলারের কথাতে তেমনই আত্মবিশ্বাসী সুর। শেষ ম্যাচটিতে তাদের একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। এখন পর্যন্ত সফরে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি রিস টপলি। সফরের শেষ ম্যাচে সুযোগ মিলতে পারে তার।

সবকিছু মিলিয়ে দুই দলের জন্যই শেষ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। স্বাগতিক বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এই প্রথম বড় কোনো প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ৯ বছর আগের লজ্জা থেকে নিজেদের বাঁচানো। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের সবগুলোতে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল।