বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের জন্মদিন আজ। ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদে খুবই সাধারন এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ভ্লাদিমির ‘ভ্লাদিমিরোভিচ’ পুতিন।
সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ সমালোচিত পুতিন। পুতিনের এক রোখা যুদ্ধের মনোভাবে বিশ্বের অনেক দেশের নিষেধাজ্ঞায়ও পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে।
তবে আবার অনেকের মতেই বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছেন পুতিন। তার দৃঢ়চেতা ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিয়ে তিনি রাশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসততাকে লাগাম পরিয়ে রেখেছেন।
বড় হওয়ার সমস্ত গুণ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিয়ে জন্মালেও শৈশবে পুতিন ছিলেন মারাত্মক দুষ্টু ও পড়াশুনায় অমনযোগী। বাল্যকালে তাকে রীতিমত একপ্রকার লাগাম পরিয়ে রাখতে হত। কিন্তু একটি উপলব্ধিই তার মাঝে বিরাট এক পরিবর্তন এনে দেয় যা ছিল এক ঐতিহাসিক যাত্রার প্রথম ধাপ।
নিজের বেড়ে ওঠার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একবার পুতিন বলেছিলেন– ‘আমি খুব সাধারণ একটি পরিবার থেকে এসেছি। (একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান হিসেবেই) আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি। আমি নিজেও একজন স্বাভাবিক সাধারণ মানুষের মত জীবন কাটিয়েছি – এবং সব সময়েই সেই বিষয়টা বজায়ে রেখেছি।’
পুতিনের মা মারিয়া শিলোমোভা অসম্ভব রকমের দয়ালু এবং নরম মনের একজন মানুষ ছিলেন। এবং তার বাবা প্রথম জীবনে একজন যোদ্ধা ছিলেন।
প্রথম মেয়াদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দারুণ সফলতা ও সাধারন রাশিয়ানদের মাঝে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করার পর ২০০৪ সালের ৪ মার্চ পুতিন আবারও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ৮ মে পুতিন দ্বিতীয়বারের মত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।