আচরণবিধি লঙ্ঘন, আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুলকে শোকজ

আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতীক বরাদ্দের আগেই বেশ জোরেশোরেই চলছে প্রচার প্রচারণা। বিষয়গুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমেও আসছে বারবার।

এ অবস্থার মাঝে এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বরাবরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের করেছেন একাধিক বার।

এসবকিছু আমলে নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কোনোপ্রকার নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। সিলেটে ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই তারা নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ৩২ বিধি অনুযায়ী কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, ‘দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। তাই তাদের করাণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাদের জবাবের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্চবাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন।

প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচার শুরু করেছেন সিলেটের মেয়র প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রতিদিনই গণসংযোগসহ বিভিন্নভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে মহানগর থেকে ব্যানার ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ দেয়া হলেও তা অপসারণ করেননি কেউ।

সোমবার আনোয়ারুজ্জামান ও মঙ্গলবার বাবুল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আচরণবিধি মানতে কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।