দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রেলপথ আখাউড়া-সিলেট। এই রেলপথে বন্ধ রয়েছে পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন। এসব স্টেশনে লোকাল ও মেইল ট্রেন থামলেও যাত্রীদের জন্য নেই টিকিট করার ব্যবস্থা। এতে বছরে কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর আন্তঃনগর ট্রেন না থামায় ভোগান্তিতে স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, স্টেশন মাস্টার না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয় স্টেশনগুলো।
সরেজমিনে শতবর্ষী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় জরাজীর্ণ অবস্থা। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় দরজা-জানালা ভেঙে পড়ছে। পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় আন্তনগর ট্রেনগুলো থামতো সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। কিন্তু গেল প্রায় পাঁচ বছর থেকে স্টেশন বন্ধ থাকায় এখানে থামে না এসব ট্রেন। আর লোকাল মেইল থামলেও যাত্রীদের জন্য নেই টিকিট করার সুযোগ। এ ক্ষেত্রে টিকিট ছাড়াই চড়তে হয় ট্রেনে। সে ক্ষেত্রেও ধরা পড়লে দিতে হয় জরিমানা।
অপরদিকে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মৌলভীবাজার জেলার ভাটেরায় গিয়ে দেখা যায় ভয়াবহ অবস্থা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হতে চলেছে অবকাঠামো। একসময় এখানে থামতো ট্রেন, হতো ক্রসিং। সময়ের পরিক্রমায় এই স্টেশনটি এখন পরিত্যক্ত।
স্থানীয় যুবক কাউসার আহমদ বলেন, স্টেশনটি চালু করতে বারবার মানববন্ধনসহ বিভিন্ন মহলে আবেদন করেও মেলেনি ফল। যার কারণে স্থানীয়রা আছেন ভোগান্তিতে।
অপরদিকে এই দুটি স্টেশন ছাড়াও এই রেলপথে লংলা, টিলাগাঁও ও লস্করপুর স্টেশন বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্টেশন মাস্টার না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয় স্টেশনগুলো।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মাস্টার না থাকায় ট্রেনগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাস্টার নিয়োগ হলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-সিলেট ১৭৬ কিলোমিটার রেলপথে প্রতিদিন সাতটি ট্রেন চলাচল করে।