আ.লীগের ক্ষমা পেলেন মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়ে মুক্তা জানান, উপজেলার টেকসই সুষম উন্নয়নে তাঁর অবস্থান অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সোচ্চার থাকবে।

গেল বছরের ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা। জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা বেশ প্রশংসিত। এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছেও বেশ গ্রহণযোগ্য তিনি।

মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা বলেন, বিগত দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বোর্ডে আমার নাম প্রেরণ করা হয়নি। তাই দলের মনোনয়ন চেয়ে আমাকে আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। দলের দুর্দিনের কর্মী হিসেবে আমার আবেদন বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় সভাপতি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মুক্তা বলেন, এখন নতুন উদ্যোমে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবো। আমি রাজনীতির জন্য নির্বাচন করি। নির্বাচনের জন্য রাজনীতি করি না। উপজেলার টেকসই সুষম উন্নয়নে আমি আমার অবস্থান থেকে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সোচ্চার থাকবো।