দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম আপনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় আরাভ খান পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ৭ মে আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিউপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এ মামলায় ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে শ্বশুরের মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে গ্রেফতার হন তিনি।
এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
আসামি রবিউল ইসলাম আপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।