সবশেষ ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ খেলেছিল ওয়েলস। এবারও যে পারবে তার নিশ্চয়তা ছিল না। প্লে-অফ ফাইনালে দেশটির প্রতিপক্ষ ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন। যাদের মনোভাব ফুটবল মাঠেও এখন যুদ্ধদেংহী। গ্যারেথ বেল তাই ভেবেই রেখেছিলেন, বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে হেরে গেলে বিদায় বলবেন ফুটবলকে!
কিন্তু ভাগ্যদেবী বোধহয় চিত্রনাট্যটা ভিন্নভাবেই লিখে রেখেছিলেন। নিজেদের ভুলে আত্মঘাতী গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ইউক্রেনের। আর সেই একমাত্র গোলের সুবাদে তাদের হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ওয়েলস। অবিশ্বাস্য জয়ের পর বেল এখন অবসর ভাবনাও দূরে ঠেলে দিয়েছেন।
ওয়েলসের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৪ বছর পর। তাই বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক মুহূর্ত হাতছাড়া করতে চাইছেন না রিয়াল মাদ্রিদ তারকা, ‘হ্যাঁ, এখন তো অবসর ভাবনা কিছু সময়ের জন্য দূরে ঠেলে দেওয়াই যায়।’ কেন দেওয়া যায় তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি, ‘ওয়েলস ফুটবলের ইতিহাসে এটা সেরা ফল। আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। যা আমাদের জন্য সব কিছু। এটা এমন স্বপ্ন ছিল, যেটা বাস্তবায়নে এখানে আসার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
১৯৯১ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্ত ইউক্রেন দ্বিতীয়বার চূড়ান্ত পর্বে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল। সেই লক্ষ্যে বল দখলে পুরোটা সময় এগিয়েও ছিল ৬৮ শতাংশ। তুলনায় লক্ষ্য বরাবর শটও নিয়েছিল বেশি। কিন্তু গোলে রুপান্তরিত করতে পারেনি একটিও। উল্টো ৩৪ মিনিটে হজম করা গোলটিও আসে তাদের ভুলে। বেলের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেড করে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন অধিনায়ক আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো।
ভাগ্য যে তাদের সহায় ছিল না। তার প্রমাণ আরও ছিল ম্যাচটায়। বিপজ্জনক অঞ্চলে ৪০ মিনিটে কড়া চ্যালেঞ্জে পড়ে যান ইয়ারমোলেঙ্কো। কিন্তু রেফারি খেলা চালিয়ে যেতে বললে কোনও বিপদের মুখোমুখি হতে হয়নি ওয়েলসকে।
কাতার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা ওয়েলস এখন খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র।