প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনার পদত্যাগ করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদত্যাগেরঘোষণা দেন।
তাদের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইডিকার্ড ছাড়া ভিতরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাজারি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সামনে আসার আগে বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করছেন নির্বাচন কমিশন।
এর আগে পদত্যাগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিইসি ও চার ইসি পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে তাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠাতে বলবেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেন।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য কার্যভার গ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমালোচিত হয়েছে। সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে ডামি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে।