যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত চার অঞ্চলের স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এসব অঞ্চলের নির্বাচনে ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। তবে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা এ নির্বাচনকে প্রতারণা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
অধিকৃত ওই চার অঞ্চলের ওপর ক্রেমলিনের সম্পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ না থাকা সত্ত্বেও গত বছর পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ অধিকৃত চারটি অঞ্চল হচ্ছে—দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিজঝিয়া।
মস্কো এবং প্রক্সি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলের ভোটাররা ৭০ শতাংশেরও বেশি ভোট দিয়েছেন।
আগামী বছর রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচনের আগে রাশিয়াজুড়ে এখন স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধারাণা করা হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসন ২০৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হবে।
কারণ পুতিনের বিরোধীরা নির্বাসিত বা কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনাকারী হাজার হাজার ব্যক্তিকে আটক করেছে পুতিন প্রশাসন।
ইউক্রেনের অধিকৃত চার অঞ্চলে ভোটের কয়েকদিন আগে মোবাইল পোলিং বুথ স্থাপন করা হয়। সে সব বুথে ইউক্রেন বাহিনী হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। এতে কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-দনের ৪০ বছর বয়সী ভোটার নিনা আন্তোনোভা বলেন, কয়েক দিন আগে এখানে ড্রোন হামলা হয়েছে। আমরা এসব সংঘাত চাই না। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই।
৮৪ বছর বয়সী আনাতোলি এএফপিকে বলেন, আমরা সবাই একটি সমস্যা নিয়েই চিন্তিত। সেটি হচ্ছে যুদ্ধ। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো বিষয়ে উদ্বেগ নেই।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ঘন ঘন হামলার ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সতর্কতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ করেছে রুশ নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান এলা পামফিলোভা বলেন, অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে বেলগোরোদের শেবেকিনোতে অঞ্চলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কারণ এ অঞ্চলে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।