অচল হওয়ার আগেই সচল সিলেটের গণপরিবহন

আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সিলেটে শুরু হয়েছিল পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট। সেই ধর্মঘট শুরুর সাড়ে চার ঘন্টার মাথায় সেটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।

এসময় সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুহিম জানান, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের কথা হয়েছে। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজনের মুক্তির দাবিতে আজ সোমবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল থেকে বাস-মিনিবাস বন্ধ থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। পরে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আলী আকবর রাজন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও। করছেন। তার বিরুদ্ধে গাড়ী পোড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৫টি মামলা রয়েছে। যে মামলা মামলাগুলোরা সাথে পরিবহনের কোনো সম্পর্ক নেই।

এছাড়া ২০২০ সালে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় সিটি কর্পোরেশন কর্মী ও পুলিশের উপর হামলার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন এই রাজন।

এদিকে বিএনপির রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে মামলায় জড়ানো নেতার পক্ষ হয়ে পরিবহণ শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তাছাড়া গাড়ী পোড়ানোর মামলার আসামির পক্ষে পরিবহণ শ্রমিক এমন আন্দোলনের ডাক বিতর্কের মুখে ফেলে দেয় শ্রমিক সংগঠনটিকে, করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।

এই প্রশ্নবিদ্ধের বিষয়টি স্বীকারও করলেন, সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম।

রাতে সিলেট ভয়েসের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নবিদ্ধ ঠিক আছে, কিন্তু সে তো নির্বাচিত শ্রমিক নেতাও। তাকে গ্রেপ্তার করেছে এক মামলায় আবার কোর্টে চালান দিয়েছে আওয়ামী লীগের ব্যানার-ফেস্টুন ছেঁড়া মামলায়। এমনকি আরও মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর চেষ্টাও চলছে। এছাড়া একাধিকবার আদালতে তোলা হলেও তার জামিন হচ্ছে না। আমরা তার জামিন চাই।’

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৮ সালের জ্বালাও-পোড়াওয়ের একটি মামলায় আলী আকবর রাজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।