৬ দিন পর সিলেটের নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার

৬ দিন পর সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর টাইটেল মাদ্রাসার ছাত্র আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিলেটের দক্ষিণসুরমাস্থ রশিদপুর থেকে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টায়  তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সিলেট জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র আমিরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ অক্টোবর তাকে (আমিরুল ইসলাম) কে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে একটি হোটেলে আটকে রেখে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আমিরুল ইসলাম (১৬) ওসমানীনগর উপজেলার কিয়ামপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে। সে উমরপুর টাইটেল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত ৯ অক্টোবর বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ১২ অক্টোবর তার বাবা ওসমানীনগর থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সংক্রান্ত জিডি দায়ের করে পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার ভিকটিমকে উদ্ধারের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারকারী টিম সমূহকে তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের জন্য ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন। পুলিশ মাঠে নেমে জানতে পারে ভিকটিমকে আটকে রেখে ১০ হাজার মুক্তিপণ দাবি করছে একটি চক্র। মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভিকটিমের পরিবার অপহরণকারীদের একহাজার টাকা প্রদানও করেন।

পরে উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সিলেটের রশিদপুরস্থ ফুলকলি শোরুমের সামনে থেকে আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে। তাকে অপহরণ করে হোটেলে আটকে রেখে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।

পরে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. নজরুল ইসলাম ওরফে মেনু মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) নিয়মিত আইনে মামলা (নং-০৯) হয়েছে ও এই ঘটনার সাথে আরও কারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।