২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোরবানীর পশুর হাট ও কোরবানীর পশু জবাইয়ের বর্জ্য অপসারণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নগর পরিচ্ছন্নতায় ১০টি টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নগর পরিচ্ছন্ন করতে সিসিকের পরিচ্ছন্ন শাখার সকল কর্মী ৩ স্থরে অন্তত ৩২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করবেন। ৪২ ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কাজে ১০টি টিম কাজ করবে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য অপসারণ কাজ সম্পন্ন করতে সিসিকের বিশেষ মনিটরিং টিমও মাঠে থাকবে। বর্জ্য অপসারণের পরপর জীবাণুমুক্তকরণে নগরজুড়ে জীবাণুনাশকও ঔষধও ছিটানো ও স্প্রে করা হবে।
নগর পরিচ্ছন্নতার কাজে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান, সিসিকের সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল হক, সহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী রজি উদ্দিন খান, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিবারের মত নগরবাসির সহযোগীতায় কোরবানি পরবর্তী দ্রুততম সময়ে আমরা সিলেট নগরকে পরিচ্ছন্ন করে তুলবো। কোরবানির পশু জবাইয়ের বর্জ্য কোনভাবেই বাসাবাড়ির আশপাশের কোন ড্রেন, ছড়া কিংবা নদীতে ফেলবেন না।’
তিনি যত্রতত্র পশু জবাইয়ের বর্জ্য না ফেলে নির্ধারিত স্থানে বা বাসার সামনে সংরক্ষণ করে সিসিকের পরিচ্ছন্ন শাখায় যোগাযোগ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।