পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৮ নভেম্বর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. মুহিবুর রহমান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নেওয়া হবে এ পরীক্ষা। তবে এ পরীক্ষা সব শিক্ষার্থী দিতে পারবে না। কেবল বিদ্যালয়ের বাছাই করা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেবে পরীক্ষায়। এজন্য মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ হিসাব করে কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তথ্য পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা সদরে নেওয়া হবে পরীক্ষা।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। এর আগে শিক্ষার্থীদের পৃথক বৃত্তি পরীক্ষায় বসতে হতো। কিন্তু গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি। সরকার ঘোষণা করেছে, এ দুই পরীক্ষা আর হবে না। এতে আগের পদ্ধতিতে ফিরে গেল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চলতি বছর থেকে এ পরীক্ষা আবার শুরু হলো।