সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও মানহানির মামলা দায়ের করেছেন হাওররক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্য সচিব।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ভান্ডারবিল হাওর উপ-প্রকল্পের ১৯নং পিআইসির সদস্য সচিব পাবেল আহমেদ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার চাকুয়া গ্রামের গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে প্রীতম দাস, তন্ময় দেব ও নারকিলা গ্রামের জান্টু দাসের ছেলে রাজু চন্দ্র দাস।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভান্ডারবিল হাওরের উপ-প্রকল্প ১৯নং পিআইসিতে কাজ হয়নি বলে বাঁধে কর্মরত শ্রমিকদের শাসানো হয় ও হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করার হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের সদস্য সচিব বাঁধে এলে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কাজ বন্ধ রাখার হুমকি দেন জয়ন্ত সেন। কিছুদিন কাজ বন্ধও ছিল। টাকা দিলে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ করা হবে না বলে জানানো হয়। পরে টাকা না দেওয়ায় ১৯নং প্রকল্পের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, একই হাওরের ২৭নং প্রকল্পের সভাপতির কাছেও চাঁদা চেয়েছেন হাওর আন্দোলনের এই নেতা। এ নিয়ে শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রকল্পের সভাপতি। বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী পাবেল আহমেদ বলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনসহ আরও বেশ কয়েকজন লোক আমার বাঁধে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি এ বিষয়ে সুবিচার পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর রায় বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের শাল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করার জন্য শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।