”সিলেটের হরিপুরে পাখির মাংস বিক্রি হয় না, সব হাঁসের মাংস। ল্যাবটেস্টে প্রমাণিত।” -সন্ধ্যার পর থেকে এমন পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর এমন ফেসবুক পোস্টের বরাত দেয়া হচ্ছে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)! অথচ ইউএনও এসবের কিছুই জানেনই না।
ফেসবুক পোস্টের সত্যতা নিশ্চিতে সোমবার রাত ১২টায় সিলেট ভয়েসের সাথে কথা হয় জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলামের সাথে। সব শোনে তিনি সাথে সাথে বিষয়টি নাকচ করে দেন।
বলেন- ‘আমি এ কথা কোথাও কখনও বলিনি। এমনকি ল্যাব রিপোর্টও আসেনি এখনও। তবে জৈন্তাপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) কিছু বলেছেন কি না আমি জানি না। কারণ, সম্প্রতি পরিযায়ী পাখি দিবসের একটা অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।’ এ ব্যাপারে তাঁর সাথে কথা বলে মঙ্গলবার বিস্তারিত জানাবেন।
এরপর রাত সোয়া ১২টার দিকে কথা হয় উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিপাদেবীর সাথে। তিনিও জানান, হরিপুরের রেস্টুরেন্টগুলোতে আলোচিত মাংস পাখির না হাঁসের মাংস; এসব বিষয়ে তিনিও কোন কথা বলেননি।
তিনি বলেন- হরিপুরের রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু পাখির মাংস প্রমাণ করা যায় না। অভিযানকালে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও এটাকে হাঁসের মাংস বলে। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসব মাংস ঢাকার একটি ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। এসব মাংস পাখির হলে এতোদিনে রিপোর্ট চলে আসতো।
তবে কি নিশ্চিত যে এটা হাঁসের মাংস; এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কোনোকিছুই নিশ্চিত না!
উল্লেখ্য, হরিপুরের হাঁসের/পাখির মাংস বেশ সুস্বাদু এবং এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে বেশ পরিচিতও। আড্ডা কিংবা ঘোরাফেরায় গিয়ে অনেকে পাখির মাংস হিসেবেই পেটপুরে খেয়ে আসেন হরিপুরের রেস্টুরেন্ট থেকে। যা পাখির মাংস হিসেবে ধরে নিয়ে অভিযানও চলে সমানতালে।