হবিগঞ্জে শহরতলীর ভাদৈ এলাকায় বন বিভাগের অফিসের পাশে একটি বিলুপ্তপ্রায় গন্ধগোকুল অবমুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিলুপ্ত প্রায় এ প্রাণীটিকে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় এলাকার শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ গন্ধগোকুল দেখতে ভিড় জমান।
গন্ধগোকুল একটি বাদামী বা ধুসর বর্ণের স্তন্যপায়ী নিশাচর প্রাণী। সাধারণত গ্রামে একে তাল খাটাস বা গাছ খাটাস বলেই চেনে সবাই। শরীর থেকে পোলাওয়ের চালের মতো সুবাস ছড়ায় বিধায় এর অধিক পরিচিত নাম গন্ধগোকুল। প্রাণীটির শরীর বিড়ালের মতো হলেও লেজ লম্বা ও মুখ দেখতে বেজির মতো। শরীরজুড়ে বিভিন্ন রঙের সারি ও কালো ছোপ ছোপ দাগ।
মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।
শহরের দিগন্ত পাড়ার একটি বাসা থেকে গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মীরা। এটি উদ্ধার ও অবমুক্ত কাজে নেতৃত্ব দেন হবিগঞ্জ সদর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী।
হবিগঞ্জ সদর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, এ প্রাণীটি আসলে বনে থাকে। এটি সমতল এলাকার প্রাণী নয়। তাছাড়া এটি এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। কোথাও তেমন একটা দেখা যায় না। কিন্তু শহরের একটি বাসায় এটি পাওয়া গেছে। তবে কিভাবে সেখানে গেলো তা জানা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে আমরা প্রাণীটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছি।