হবিগঞ্জ জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন। ৩০ টাকা কেজি দরে উৎপাদিত এসব ধান বিক্রি করা গেলে ১৯১২ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন জেলার কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিলের পর থেকে হাওরে ধান কাটা শুরু হবে। ব্রি-২৮ ও হাইব্রিড জাতের ধান প্রথম পর্যায়ে কাটা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৯ উপজেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ দশমিক ২ মেট্রিক টন হিসেবে এবার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের বাজার দর ৩০ টাকা হলে জেলায় প্রায় ১ হাজার ৯১২ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের পর বিক্রির সম্ভাবনা আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওরে জমির পরিচর্যায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশিরভাগ জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়া শেষ। কোথাও ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে শুধুমাত্র সেই জমিগুলোতে চলছে শেষ দফার কীটনাশক ছেটানোর কাজ।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. আশেক পারভেজ জানান, গত বছর বোরো ধানের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা ছিল। এবার কেজিতে কমপক্ষে দুই টাকা ধানের দাম বাড়বে। গত বছর বোরোর আবাদ প্রায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। এবার সেই সমস্যা হয়নি। ফলে ধানের ফলন ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। অল্প পরিমাণ জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ার পর সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।