৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে বিশাল বর্নাঢ্য র্যালী করেছে বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠ থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ।
এর আগে পৌরসভার মাঠে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ জি কে গউছ।
তিনি বলেন-‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতা এনে দিয়ে তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে গিয়েছেন। একজন নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদের উদাহরণ হচ্ছে জিয়াউর রহমান। অথচ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেনি, যারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, পাকিস্তানের কারাগারে মেহমানদারী করেছে, তারা ফিরে এসে এই স্বাধীন দেশটাকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমেই বাকশালী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন- ‘৭ নভেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে এক অচলাবস্থা থেকে রক্ষা করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। শুরু হয়েছিল বহুদলীয় রাজনীতির ধারা। তিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়ন ও উৎপাদনে শীর্ষে পৌছে দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।’
র্যঅলীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু ও এনামুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মস্তুফা রফিক, এম জি মোহিত প্রমুখ।