সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও ইন্টার্ন চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ১ টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেলা ২টার দিকে সড়ক থেকে চলে যান।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মাহবুবুর রহমান ভূইয়ার আশ্বাসে আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের বিষয়টি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালের মধ্যে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করবে বলে হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এমনকি তারা আগামীকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পরিচালক আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আমাদের দাবির প্রতি এলাত্মতা জানিয়েছেন এবং বলেছেন দাবি আদায়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। তাই আমরা আজকের দিনের মতো সরে এলাম। তবে আগামীকাল সকালের মধ্যে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে এবং হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে।
এদিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মাহবুবুর রহমান ভূইয়া জানিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা হয়েছে। তারা সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করছেন। সেজন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আপাতত সড়ক থেকে সরে গেছেন।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজহাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রোগীর স্বজনদের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকের ঝগড়ার জের ধরে সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বহিরাগতরা। এর প্রতিবাদে ওই রাতেই কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ঘটনার রাতে হামলার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক হলেও তাদের দাবি আদায় হয়নি বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এদিকে হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির হুমকির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে।