সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সড়কের পাশে শুয়ে থাকা অবস্থায় কমর আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত কমর আলী জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের লুদুরপুর নামক স্থানে কমর আলীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ওই সড়কে চলাচলকারী গাড়িচালকদের সহযোগিতায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কাছ থেকে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ততক্ষণে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃতের ভাতিজা মিজানুর রহমান বলেন, সন্তান হয় না বিধায় ১০ বছর আগে চাচার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই তিনি বাড়িছাড়া। তিনি কোথায় কখন থাকেন আমরা কেউ জানি না। মাঝে-মধ্যে বাড়িতে আসেন, আবার কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। গত ৫ বছর আগে হঠাৎ করে বিয়ে ফেলেন তিনি। কিছুদিন পর ওই স্ত্রীর সঙ্গেও বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বেশ কয়েকমাস ধরে শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত মে মাসে চাচাকে সিলেটের হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মির্জা রুবেল বলেন, হাসপাতালে যখন নিয়ে আসা হয় তখন কমর আলী জীবিত ছিলেন। পরে আমরা তাকে সিলেটে রেফার করি। কিন্তু স্বজনরা আসার আগেই তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষপানে তার মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশীষ ধর বলেন, চিকিৎসকের তথ্যমতে ধারণা করা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।