পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীল কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে “এডভান্সিং দি লিডারশিপ অব উইমেন অ্যান্ড গার্লস টুয়ার্ডস বেটার হেলথ অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স” নামে একটি প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি সিলেট, সুনামগাঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার দূর্যোগপ্রবন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
উক্ত প্রকল্পের আওতায় গত সোমবার (২৫ জুলাই) সিলেট-এর হোটেল ভেলী গার্ডেন-এ দিনব্যাপি এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সকল কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা মুল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন বিভাগের অংশগ্রহনে “স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় ডাঃ হিমাংশুলাল রায়, বিভাগীয় পরিচালক(স্বাস্থ্য), মো: কুতুব উদ্দিন, বিভাগীয় পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা), ডাঃ জন্মেজয় দত্ত, ডেপুটি সিভিল সার্জন, ডাঃ লুৎফুন নাহার জেসমিন, উপ পরিচালক-পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, তপনকান্তি ঘোষ, সহকারী পরিচালক-পরিবার পরিকল্পনা, ডাঃ ওমরগুল আজাদ, রিজিওনাল কনসালটেন্ট-পরিবার পরিকল্পনা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিলেট জেলার গোয়াইঘাট, বিশ্বনাথ, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিক্যাল অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল কর্মকর্তাবৃন্দ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কেন্দ্রেসমুহের সক্ষমতা মুল্যয়ন করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত টুলসটি সকলের সাথে শেয়ার করেন এবং সকলের মতামত অহ্বান করেন।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ হিমাংশুলাল রায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দূর্যোগকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই প্রকল্পটি সে অবস্থা থেকে উত্তরনের লক্ষ্যে কমিউনিটিকে সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, মোট জনসংখ্যার ৫০% নারী। স্বাস্থ্যসহ সকল খাতে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিবার ও সমাজের ভারসাম্যতা বজায় রাথার জন্য নারী এবং কিশোরীদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংগঠনগুলোকে ভাল ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কাজের জন্য সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জনাব মো: কুতুব উদ্দিন, বিভাগীয় পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) বলেন, মহিলাদেও ক্ষমতায়ন ব্যাতিত ড়রিকল্পিত পরিবার তথা রাষ্ট্র গটন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার অভাব, স্বাবলম্বিতার ক্ষেত্রে অনগ্রসরতার কারনে নারীরা ক্ষমতায়িত নয়। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে টবে এখনো অনেক স্থাপনা আছে যা ভাল ভাবে কার্যকর না থাকার দরুন ৫০% ডেলিভারী রাড়ীতে হচ্ছে। এই সংখ্যা কমাতে হলে পারলিক এবং প্রাহভেট পার্টনারশীপ আরো জোরদার করা খুবই প্রয়োজন।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জনাব আলমগীর হায়দার বলেন “ নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা পরিকল্পনায় নারীকে বিবেচনায় রেখে কর্মপরিকল্পনা হলে মাঠ পর্যায়ে এর সুফল আশা করা যায়। আমরা আশা করছি এই প্রকল্পটি সরকারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগী ভুমিকা রাখবে”।