করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় বিগত ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়েছিল। সোয়া দু’বছর পর গেল সোমবার থেকে চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে ফের ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সু-রক্ষা সেবা বিভাগ বহির্গমন-১ এর রোববারের (২৬ জুনের) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পারাপারের অনুমতি কার্যকর করা হয়েছে।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সু-রক্ষা বিভাগের উপ সচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান (স্মারক ৫৮.০০.০০০০.০৪১.২১.০০৩.১২.১০৬ তারিখ ২৬ জুন ২০২২) স্বাক্ষরিত পত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (পত্র সংখ্যা ১৯.০০.০০০০. ৪১১.৪১.২৬৪.২০-৬৩৭: তারিখ ৯ জুন ২০২২ মূলে ও এসবির পত্র সংখ্যা ৪৪.০১.০০০০.০৮৬.৪১.০০১.২০২২.৩৯ তারিখ ২৩ মে ২০২২ মূলে) বাংলাদেশে বন্ধ থাকা ১১টি স্থল অভিবাসন কেন্দ্রের সাথে চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রেও ভারত-বাংলাদেশে যাত্রী পারাপার চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বে বর্তমানে কোভিট-১৯ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ইত্যাদিও সুযোগ পূনরায় চালু করার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শেরপুর জেলার নাকুগাঁও, সিলেটের জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের চাতলাপুর ও জুড়ি, কুরমাঘাট, হবিগঞ্জের বাল্লা, কুমিল্লার বিবির বাজার, ফেনীর বিলোনিয়া, ঢাকা সেনানিবাস রেলওয়ে অভিবাসন কেন্দ্র, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও যাশোরের বেনাপোল রেলওয়ে অভিবাসন কেন্দ্র চালুর অনুমতি প্রদান করা হয়।
এরপর সোমবার (২৭ জুন) সকাল থেকে এসব স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে গেলে অভিবাসন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সামিউল ইসলাম জানান, রোববার রাতেই মন্ত্রী পরিষদ থেকে তিনি এ পথে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চালু করার অনুমতি পেয়েছেন।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল কবির কাজল জানান, যাত্রী পারাপারের বিষয় অভিবাসন কেন্দ্রের। রোববার রাতেই মন্ত্রী পরিষদ থেকে যাত্রী পারাপার শুরুর নির্দেশনা পত্র পেয়েছেন। যাত্রীরা ভিসা নিয়ে আসলে শুল্ক বিভাগের কিছু আনুষ্ঠানিকতা করে পরে অভিবাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।