আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন সুনামগঞ্জ-২( দিরাই-শাল্লা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত সুরঞ্জিত পত্নী ড. জয়া সেনগুপ্তা।
মঙ্গলবার (২৮ নেভম্বর) নিজ এলাকা দিরাই থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ও মেয়র বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জয়া সেনগুপ্তা বলেন, আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় নাই, আমি নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। কিন্তু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এলাকা হিসেবে সাধারণ মানুষের দাবির প্রতি নতি স্বীকার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আমাকে নির্বাচন করতে হবে।
জয়া সেনগুপ্তা আরো বলেন, আমার প্রয়াত স্বামী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দিরাই-শাল্লায় বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে, যাদের নেতৃত্বে আমি দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এসব মানুষের ভালবাসার প্রতি সম্মান জানাতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
স্থানীয়রা জানান, সচেতন এলাকা হিসেবে পরিচিত দিরাই-শাল্লায় ১৯৭০-এর নির্বাচনে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ন্যাপ থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেশের রাজনীতিতে ইতিহাস তৈরি করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সুরঞ্জিত প্রথমে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন।
১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেন ভোটে হেরে গেলেও পরে হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ-বানিয়াচং আসনে উপ-নির্বাচন করে বিজয়ী হন। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত দিরাই-শাল্লা আসনে ছয়বার এবং হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আসনে একবারসহ সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৭ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করলে ওই বছরের ৩০ মার্চ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হন সুরঞ্জিতের স্ত্রী ড. জয়া সেন গুপ্তা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ড. জয়া সেন গুপ্তা নির্বাচিত হন। এরপর থেকে জয়া সেনগুপ্ত দিরাই-শাল্লা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।