
বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার আরও শতাধিক সেনা বৃদ্ধি করেছে। আজ রবিবার (৪ মার্চ) সকালে তারা সেনা বৃদ্ধি করে।
বিষয়টি সম্পর্কে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ১ মার্চ সীমান্তে ৭ ট্রাক সেনা বৃদ্ধি করা হয়। ২ তারিখ সকালে সেনা সদস্যরা সরে যায়। পরে পতাকা বৈঠক শেষে আবারও তারা সীমান্তে অবস্থান নেয়। আজ আরও শতাধিক সেনা সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের মনে আতঙ্ক বেড়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, সেনা বৃদ্ধির খবরটি জানতে পেরেছি। তবে এটা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং সো মাইকিং করে ঘোষণা করেন, ‘নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভূমির মালিক মিয়ানমার। তাই রোহিঙ্গাদের নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করা আইনত অবৈধ। দ্রুত নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে সরে না গেলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’
এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইনের ঢেঁকিবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্পে বিভাগীয় কমিশনার পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে মিয়ানমার সরকার গত ১ মার্চ তমব্রু সীমান্তের কাছাকাছি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে।