সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের বেশিরভাগই ‘স্বশিক্ষিত’ ও মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের ৯২ জন ‘স্বশিক্ষিত’। এ ছাড়া ৭৬ জন প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। দুজন প্রার্থী রয়েছেন ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’।
তাছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখের স্থানটি অস্পষ্ট। বাকি ৮৬ জনের মধ্যে ২৩ জন ‘স্বশিক্ষিত’ এবং একজন ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। ২৫ জন মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ১৩ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হলফনামায় দেখা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৭ জন প্রার্থীর হলফনামা আপলোডই করা হয়নি। এ ছাড়া ৪, ১০, ১৪ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের একজন করে মোট চারজন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার অংশটি হলফনামায় পাওয়া যায়নি। ফলে হলফনামা ঘেঁটে ২৩২ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি জানা গেছে।
হলফনামা আরো দেখা গেছে, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৯ জন ‘স্বশিক্ষিত’ ও একজন ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। ৫১ জন প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ৫০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এমন চিত্রে হতাশা ব্যক্ত করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু কাজ হয়নি। ভোটারদের তাই প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে।’
সিলেট ভয়েস/এএইচএম