সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর ভাটাটিকর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক করা হয়নি।
টানা পাঁচবারের নির্বাচিত সিটি কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ নগরীর টিলাগড় এলাকায় আওয়ামী লীগের ও অংগ সংগঠনের একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন।
এই এলাকাতেই অপর দুটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিত সরকার।
কাউন্সিলর আজাদের অনুসারীরা অভিযোগ করেছেন, শেখ নজরুল ইসলাম ওরফে বিজয়, রাব্বী, রিয়াজুল, সুহেল, নাসির, সামাদসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে কাউন্সিলরের পৈত্রিক ভিটায় হামলা চালান।
পরে তারা পূর্ব শাপলাবাগে কাউন্সিলরের বাসভবনেও হামলা চালিয়ে জানালার কাঁচ ভাংচুর করেন। এতে আজাদের ভাইয়ের ছেলে তাহমিদুর রহমান এবং তার অনুসারী হীরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়ছল ও মুতাছির আহত হন।
হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে দাবি করেছে আজাদের অনুসারীরা।
তবে এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘হামলাকারীরা এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি, হামলা-দখলবাজি চালিয়ে আসা একটি চিহ্নিত মাদকসেবী চক্র, যাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই তারা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে।‘
প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যারা হামলা করেছেন, তারা চোর-ডাকাত; কোনো গ্রুপের (দল) নন। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। আজাদুর রহমান আজাদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।‘
এ বিষয়ে শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।