সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ আব্দুল মালিককে সিলেট জেলা পুলিশের অর্থায়নে একটি নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ৪নং লেঙ্গুয়া ইউনিয়নের শনিগ্রামে হাফেজ আব্দুল মালিক কে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম)।
এর আগে গত ২৯ জুন সিলেটের গোয়াইনঘাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ আব্দুল মালিকের বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙাচোরা ঘরটি দেখে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিন।
পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন ঘর পেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ আব্দুল মালিক বলেন, ‘পাহাড়ী ঢলে আমার সব কিছু ভাসিয়ে নেয়ার সাথে সাথে নিয়ে গেছে বাসস্থানটুকুও। পরিবারের লোকজন নিয়ে কোথায় থাকবো, কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো- এমন সব ভাবনায় যখন আমি দিশেহারা অবস্থায় হতাশার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই আমার পাশে নির্ভরতার হাত বাড়িয়ে দিলেন সিলেট জেলার মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে খ্যাত (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম)। এক মাসের মধ্যে আমাকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছে পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘নিজ চোখে নতুন ঘর দেখা আগ্রহ না থাকলে এমন একজন বড় হৃদয়ের এসপি সাহেবকে দেখার ইচ্ছা জেগেছে মনে।’
সিলেটের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, সিলেটের বন্যার শুরু থেকে বন্যা পরবর্তী এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিত মানুষের পাশে রয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ। বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বন্যায় বিধ্বস্ত আব্দুল মালিকের বাড়ীঘরের চিত্র দেখে খুব মর্মাহত হয়। বন্যায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত অসহায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ আব্দুল মালিককে কাছে টেনে নিয়ে তার সমস্যার কথা শুনে সাথে সাথেই গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুলকে নির্দেশনা দেয় দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য। আজকে এই ঘরটির চাবি হস্তান্তর করতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।’
ঘর পেয়ে হাফেজ আব্দুল মালিক পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে শোনান ও সকলের জন্য দোয়া করেন।
এ সয়ম উপস্থিত ছিলেন- গোয়াইনঘাট সার্কেলের এএসপি প্রবাস কুমাস সিংহ, গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল জাহান কাজল প্রমুখ।