শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজা সেলিম বলেছেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ গতে তুলতে হলে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকল্প নেই। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে কঠোর অধ্যবসায় করতে হবে। জ্ঞানার্জন ছাড়া একজন পরিপূর্ণ সুনাগরিক হওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার দিকে মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়।’
রবিবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দু’দিনব্যাপী ইইই (ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ কর্তৃক টেকনোভেঞ্চার-এর তৃতীয় আসর ‘টেকনোভেঞ্চার ৩.০’ রোবোটিক্স প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রতিতে সমৃদ্ধশালী ও মর্যাদাশীল করতে শিক্ষার্থীদেরকেই সর্বপ্রথম এগিয়ে আসা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদেরকে শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না, পঠিত বিষয়বস্তুগুলো হাতে-কলমে চর্চা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইপি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুকিদ মোহাম্মেদ মোকাদ্দেস, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মো. সাহিদ ইকবাল, হাইফাই কম্পিউটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াহিয়া তানজিল।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টায় এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আইইইই বাংলাদেশ শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. এম. মহমিনুল হক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিশ্বের সাথে আমাদেরকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তারে সচেষ্ট হতে হবে।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে দু’দিনব্যাপী রোবোটিক্স প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে সম্মানসূচক অর্থ পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন টেকনোভেঞ্চার ৩.০-তে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
সবশেষে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- ইইই চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান তামিম, রিদিতা শাহরীন উপমা ও ষষ্ঠ ব্যাচের নুসাইবা বিনতে হাবিব।
উল্লেখ্য, সিলেটে নগরের বালুচরে অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে দু’দিনব্যাপী রোবোটিক্স প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গত ৯ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মো. সাহিদ ইকবাল।
দু’দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান সার্কিট মাস্টার, লাইন ফলোয়িং রোবোট, ইন্টিগ্রেশন বী, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, গেইমিং কনটেস্টসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট দিয়ে সাজানো হয়।
এসব ইভেন্টে কুয়েট, ডুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, সাস্ট, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, ময়ময়নসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আইইউবিএটি, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় শতাধিক দল অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম দিনে সার্কিট মাস্টার, ইন্টিগ্রেশন বী, গেইমিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ও শেষ দিন রবিবার সকাল ৯টায় লাইন ফলোয়িং রোবোট ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।