কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে যত ধরণের সুযোগ- সুবিধা, সহযোগীতা আছে সবকিছুর মধ্যে আমি গোলাপগঞ্জ-কে রাখবো। কারণ গোলাপগঞ্জে যে এতো কৃষি সেটা আমি না দেখলে বুঝতে পারতাম না। আমরা দূরে বসে দেখি সিলেট অঞ্চলে কৃষি কম। কিন্তু আমাদের হিসেব বলে সিলেট অঞ্চলে ৪ লাখ হেক্টর পতিত জমি আছে। সিলেট অঞ্চলের মানুষ খুব বড় লোক, তারা বিদেশে চলে যায়, তারা জমিতে ঘরবাড়ি করে চলে যায়, সিলেটের জমিতে চাষ খুব কম হয়। কিন্তু আজ সারাদিন সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আমার এই ধারণাটা ভেঙে গেছে৷
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের আলভিনা গার্ডেনে কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প ও লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব আরও বলেন, সিলেটের মাটি হচ্ছে এসিড মাটি। এই মাটিতে আনারস, লেবু, কফি, কাজু বাদাম ভাল চাষ হয়। গাড়িতে আসতে গোলাপগঞ্জের যতদূর দৃষ্টি গেছে সীমের বাগান, পানিতে কচুর লতি, টিলা গুলোতে আনারস বাগানের চাষ দেখেছি।
তিনি বলেন, সেচের ব্যাপারে কৃষকরা সবচেষে বেশি ঠকে। সেচ হলেই কৃষি হয়, সেচ না হলে কৃষি হয়না। সুতরাং সিলেটে সেচের ব্যাপারে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। আপনারা অচিরেই বুঝতে পারবেন, বড় বড় প্রজেক্ট হইছে, প্রজেক্ট গুলো যে সময় আসবে আপনারা সেচের সুবিধা পাবেন। সেচের সুবিধা পেলেই আপনারা কৃষি করতে পারবেন।
সমাবেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসরেফুল আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেহেনা ইয়াছমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার সিলেটের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার, লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. ফারুক আহমদ, কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শহিদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান, আলভিনা গার্ডেনের মালিক আব্দুর রব রুবেল।
এরআগে সচিব পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত কদমরসুল কফি গার্ডেন পরিদর্শন করেন। এসময় কৃষি অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।