সিলেটে ২৩৪ জুয়েলারি ব্যবসায়ী পেলেন বাজুসের সনদপত্র

বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে ও সুপরিকল্পনায় জুয়েলারি শিল্পে প্রাণ ফিরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাজুসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, বাজুসের আশাজাগানিয়া সাফল্যের মধ্য দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে জুয়েলারি শিল্প তার হারানো অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখার আয়োজনে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের আইডি কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বে জুয়েলারি শিল্পে মডেল হবে বাংলাদেশ। সায়েম সোবহান আনভীরের ব্যবসায়িক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় আগামীতে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। এই শিল্পে জড়িতদের আর কেউ ব্ল্যাকার বলতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলারী এসোসিয়েশন বাজুস আমাদের ঐক্যবদ্ধতা ও পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করছে।

তিনি সিলেটের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সবাইকে সৎ ও আধুনিক সরঞ্জাম সম্বলিত ব্যবসায় এগিয়ে আসতে হবে। যাথে নিজের ব্যবসায়ীক উন্নতির পাশাপাশি সিলেটের কাষ্টমার ঢাকাতে যেতে উৎসাহ না পায় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। চোরাচালান রোধে বাংলাদেশ জুয়েলারী এসোসিয়েশন কাজ করছে তাই সবাইকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি গ্রাহককে বিদেশমুখী প্রবণতা রোধে দেশে স্বর্ণ ক্রয়ে আগ্রহী করে তুলতে সম্মিলিতভাবেভাবে কাজ করতে হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির সদস্য নীহার কুমার রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুসের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি রিপনুল হাসান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী সুনু মিয়া, মো খুুরশেদ আলম, অরুন কুমার রায়, মো. সুহেল আহমদ, আবুল হাসান নজু, শেখ মো. আলমগীর প্রমুখ। এতে সিলেটের অন্তত তিন শতাধিক জুয়েলারি ব্যবসায়ী অংশ নেয়।

এসময় ২৩৪ জন জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুসের আইডি কার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন অতিথি বৃন্দ ও উপস্থিত ব্যবসায়ীরা।