সিলেটে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ

শান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি প্রয়োজন: বিভাগীয় কমিশনার

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সর্বক্ষেত্রে শান্তির বিধান নিশ্চিত করে প্রেম-প্রীতি, সৌহার্দ আর শান্তি ও সম্প্রীতির এক পরিমন্ডল বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামের মূল লক্ষ্য।

সকালে (শনিবার) সিলেট নগরীর জেলা পরিষদের হলরুমে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা পর্যায়ে সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাস গুপ্তের পরিচালনায় সমাবেশে বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, মহানবী মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর সেখানে মুসলমানসহ, ইহুদি এবং আওস ও খাযরাজ মিলে ১২টি গোত্রের লোক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করেছেন। এমনকি মদিনার সনদে স্বাক্ষরকারী সব গোত্র-সম্প্রদায় ‘মদিনা রাষ্ট্রে’ সমান অধিকার ভোগ করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়।

সম্প্রীতির বন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মহানবী ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি, সাম্য-মৈত্রীর সুদৃঢ় বন্ধন রচনা করেছিলেন। সুতরাং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি প্রয়োজন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার সুহেল রেজা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।

সম্প্রীতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি প্রদীপ কুমার ভট্রাচায্য, প্রেসবিটারিয়ান চার্চ এর পুরোহিত ডিকন নিঝুম সাংমা, বৌদ্ধ সমিতি সিলেটর মার্টিনা, বাংলাদেশ মনিপুরী সাহিত্য সংসদ সিলেটের সভাপতি এ.কে শেরাম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সাবেক মহানগর ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী উপপরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম (প্রশাসনিক), রাজনৈতিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিগণ।