তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, সিলেট বিভাগের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ নতুন প্রজন্মই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনার খসড়া তৈরি হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে আয়োজিত ‘ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া শেয়ারিং’ শীর্ষক সেমিনার ও সফল ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এন এম জিয়াউল আলম পিএএ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এন্ড আর্নিং উন্নয়ন প্রকল্প সিলেট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক খায়রুল আমীন ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আর্নিং এন্ড লার্নিং উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান।
অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলি, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো সালাহউদ্দিন ও সিগমা সিস্টেম লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা আল হুসাইন। এছাড়াও কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার নিজ নিজ সাফল্যগাথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা চান, বাংলাদেশে কেউ চাকরির আশায় বসে থাকবে না বরং চাকরি দেবে। তাই ফ্রিল্যান্সার পড়ে তুলতে ২০১২ সাল থেকে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার যুবক-যুবতিকে। প্রশিক্ষিত সবাই যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির চেয়ে অনেক বেশি আয় করছেন।
তিনি জানান, প্রতিটি জেলায় একটি করে হাইটেক পার্ক ও প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের সংযোগ সুবিধার জন্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেখ রাসেল আইটি ল্যাব। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়নে চলে গেছে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি। হাওর ও দ্বীপ এলাকায় স্যাটালাইটের মাধ্যমে কানেকটিভিটি দেওয়া হবে। এছাড়াও নানা পরিকল্পনা রয়েছে।
সিলেট অঞ্চলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকার থেকে আগ্রহীদেরকে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান জ্যেষ্ঠ সচিব।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক খায়রুল আমীন বলেন, আরও মানুষকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিশেষ অতিথি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই অগ্রযাত্রা দেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীত করবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, সিলেটে ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ জন ফ্রিল্যান্সারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সেমিনার শেষে ৭০ জন সফল ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।