মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যু বার্ষিকীতে

সিলেটে ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের আলোচনা সভা

জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকালে সাহেব নগরস্থ সংসদের কার্যালয়ে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা, ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাস্টার মোঃ সুলতান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বকুল। সভায় বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ জহির আলী মেম্বার সুহেল আহমদ, সুমন দাস, চান মিয়া, ফারুক আহমদ প্রমুখ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, শ্রমিক, কৃষক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ। এছাড়াও সভায় ভাসানী ভক্তগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, মওলানা ভাসানী অল্প বয়সে রাজনীতিতে যোগদেন। তিনি ১৯০৮ সালে আসাম মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯১৫ সালে তিনি আসাম আঞ্জুমান ওলামার সভাপতি এবং ১৯১৬ সালে আসাম কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২৪ বছর বয়সের তরুণ মওলানা আসামে বাস্তহারা বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রিয় নেতা হয়ে উঠেন ব্রিটিশ সরকার ঘোষিত কুখ্যাত ‘লাইন প্রথার বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। অসামান্য নেতৃত্বে মুগ্ধ হয়ে জনগণ তাকে ‘ভাসানী’ উপাধি দেন। আসামের ১৩ বছরের জীবনে ৮ বছরই কারাগারে কেটেছে। বাঙালিদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আসাম আইনসভার সদস্য ছিলেন ১১ বছর।

আপোসহীন সংগ্রামী নেতা ভাসানী সময়োপযোগী ও অগ্রগামী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো দূরদর্শিতার জন্য ব্রিটিশ আমলেই জাতীয় নেতার মর্যাদা লাভ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তারই নেতৃত্বে ঢাকার টিকাটুলিতে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা তিনি দলের সভাপতি হন। তিনি দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আমৃত্যু আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তাই তো এই আপোসহীন সংগ্রামী নেতাকে বাঙালি জাতির পিতা ঘোষণা করা হোক এবং রাষ্ট্রভাবে তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালনের জোর দাবী জানান।