দশমবারের মতো সিলেটে বর্ণমালার মিছিল দিয়ে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে বরণ করে নেয়া হলো। এতে বাংলা বর্ণ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য এই বর্ণমালার মিছিল।
সকাল ১১টায় সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট বিগত ৩৮ বছর ধরে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নাট্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভাষার মাসকে বরণ করতে বর্ণমালার মিছিলটি তাদের নাট্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচি। ভাষা আন্দোলনের আদর্শ ও চেতনায় তরুণ ও নতুন প্রজন্মকে ছড়িয়ে দিতে নাট্য পরিষদ অঙ্গীকার পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বক্তারা আরও বলেন, ভাষার মাসকে বরণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম যেন বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় কাজ করে।
বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকল অপসংস্কৃতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বায়ান্ন-একাত্তরের চেতনায় কাজ করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আয়োজক সংগঠন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাস বলেন, এটি বর্ণমালার মিছিলের ১০ম আয়োজন। আমরা প্রতিবছর এই আয়োজনটি করি মূলত দু’টি উদ্দেশে। একটি হলো মহান ভাষা শহীদদের স্মরণ করা এবং অন্যটি হলো নতুন প্রজন্মের সামনে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা।
বর্ণমালার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম সেলিম প্রমুখ।