সিলেটে গেল ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। তবে সার্বিক পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
এদিকে, রৌদ্র উজ্জ্বল থাকায় পানি নামতে শুরু করেছে সিলেট নগরী, সিলেট সদর, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে।
রোববার (০২ জুন) সিলেটের জেলা প্রশাসন জানায়, বৃষ্টিপাত ওউজানের ঢলে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড, সিলেট সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, জকিগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, বিয়ানীবাজার উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার ২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডসহ জেলার বন্যা কবলিত ৮টি উপজেলার মোট ৬৮টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের ৭৬১টি গ্রাম ইতোমধ্যে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বন্যা আক্রান্ত জনসংখ্যা ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৩৫ জন। যা গতকাল শনিবার পর্যন্ত ছিলো ৬ লাখ ৯হাজার ৩৩ জনে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এসব এলাকাগুলোতে ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে রোববার পর্যন্ত ১হাজার ৮শ ৬ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন, তবে গতকাল তার সংখ্যা ৩হাজার ৩শ ৪২ জনে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারি- বেসরকারিভাবে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান সিলেট ভয়েসকে জানান, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় গত ১২ ঘন্টায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ২০৪ জন তাদের বাড়ি ফিরে গেছেন। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং সার্বিক পরিস্থিতির উপর সর্তক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
এদিকে গেল ২৪ ঘন্টায় সিলেটের জাফলং এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল ১১৩ মিলিমিটার। তাছাড়া অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কম ছিলো বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।