সিলেটে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও বন্যার ক্ষত এখনও কাটেনি। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পর্যন্ত জেলার এক হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এরই মধ্যে ফের সিলেট অঞ্চলে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সিলেট ছাড়াও ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগেও এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এ সময়ে দেশের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
এদিকে, ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফায় বন্যার রেশ এখনও রয়ে গেছে। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও এখন জেলার নিম্নাঞ্চলের অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। বন্যার পানি নামতে শুরু হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও ভেসে ওঠছে।
এ অবস্থায় ফের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসের কারণে বন্যা পরিস্থিতি পুনরায় অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৬ জুন) রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ২টি ওয়ার্ডসহ জেলার ৯৫টি ইউনিয়নের ১ হাজার ২০২টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এতে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২২০জন মানুষ। তাছাড়াও ২৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ হাজার ৪২৩জন মানুষ অবস্থান করছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শুধুমাত্র কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসের কারণে আগে থেকেই সিলেটের প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।