বেশ কিছু দিন পর আবার সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। যেসব এলাকার পানি নেমেছে, শুধু সেখানেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। আরইবি বলছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরই সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এখনও সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন। নতুন করে প্লাবিত এলাকার কিছু জায়গায়ও বিদ্যুৎ নেই। তবে সেটার পরিমাণ কম বলে জানিয়েছে আরইবি।
স্থানীয়রা বলছেন, পরিস্থিতি এতটাই নাজুক ছিল যে চাইলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব ছিল না। অনেক এলাকার বিদ্যুতের তার ও পোল ভেসে গেছে।
পানিবন্দি এসব স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম মোবাইলেও চার্জ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে বাইরে থাকা মানুষরা আপনজনের খোঁজও নিতে পারেননি। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে।
সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণকারী আরইবি ও পিডিবি বলছে, পানি নেমে গেলে লাইন মেরামতের কাজ শুরু হবে। সম্ভাব্য ক্ষতির হিসাবও করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের তরফ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পরিমাণ কমে আসবে। এদিকে সিলেটে কমলেও পানি বাড়তে পারে চট্টগ্রামের দিকে। তখন সেখানেও বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, সিলেটে বৃষ্টি কমে এসেছে। তবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি বাড়তে পারে। রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আরইবির সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, আরইবির অধীন সিলেট-১ সমিতিতে এখন ৩৫ হাজার, সিলেট-২ সমিতিতে ৭২ হাজার এবং সুনামগঞ্জে ৩ লাখ ৪২ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন আছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। নতুন করে প্লাবিত হতে পারে শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চল।
কয়েক দিনের মধ্যে এসব এলাকায়ও বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।