‘ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা’’ – প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সোমবার (৮ আগস্ট) সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমীতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ (পাসকপ), খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (কেএসইউ), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সিলেট, মুন্ডা সম্প্রদায় উন্নয়ন সংগঠন ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
আলোচনা সভার শুরুতে লাবনী স্বার্তীর পরিচালনায় ধারণাপত্র পাঠ শেষে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন পাসকপ’র সভাপতি গৌরাঙ্গ পাত্র।
সভায় বক্তারা বলেন, আদিবাসীদের জন্য এ দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। আদিবাসীরা নিজেকে আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। আজকের এই ঐতিহ্যগত বিদ্যার সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারীর ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের বৃহত্তর আদিবাসী সমাজে নারীরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং ঐতিহ্যগত বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে নারী ও আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। তাই আদিবাসী নারীদের পরিশ্রমকে স্বীকৃতি প্রদানসহ আদিবাসীদের আদিবাসী বলে আখ্যায়িত করার দাবি জানাই।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, শাবিপ্রবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. নাজিয়া চৌধুরী, ফাদার যোসেফ গমেজ (ওএমআই), শাবিপ্রবির নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আ ফ ম জাকারিয়া, মহানগর ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও মসকপ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম সিংহ রতন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন, বাপা সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, টিডব্লিউএ’র সভাপতি দানেস সাংমা, কেএসইউ’র প্রেসিডেন্ট আলীজেক তংসং, টিডব্লিউএস’র সভাপতি যোসেফ হাইউ প্রমুখ।
এরপর আদিবাসী শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।