বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পমাধ্যম অ্যাক্রোবেটিক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে এই অ্যাক্রোবেটিক শিল্প ও শিল্পীর পরিচর্যা করে আসছেন। তৈরি করেছেন চৌকস অ্যাক্রোবেটিক দল। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দলটি বছরব্যাপী ৬৪ জেলায় পর্যায়ক্রমে তাদের অসাধারণ নৈপূণ্য ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনের মাধ্যমে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন দর্শক মনে। সিলেটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় দেড়ঘন্টার চোখ ধাঁধানো অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী দেখে অভিভূত সিলেটের দর্শক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের সহযোগিতায় চীনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশ অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় একাডেমি মিলনায়তনে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
অ্যাক্রোবেটিক শিল্পের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা, অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন স্বরূপ আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রদর্শনীটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করা হয়। মুহুর্মুহু করতালিতে প্রশংসিত হয় ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনটি। চোখ ধাঁধানো ও রোমাঞ্চকর পরিবেশনায় মুগ্ধ আগত হল ভর্তি দর্শক। এ জাতীয় আয়োজন সুস্থ, সুন্দর ও সংস্কৃতিবান্ধব জাতি বিনির্মাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আগত দর্শকদের সকলেই মনে করেন।
জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ভবতোষ রায় বর্মণ; সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী; বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল; সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেণু, বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দলের সমন্বয়কারী আবু ইসলাম মুহাম্মদ ইতিহাস-এর ধারা বর্ণনায় পরিবেশিত পুরো অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীটি উপভোগ করেন আগত শিশু, কিশোর, তরুণসহ সকল বয়সের ৫ শতাধিক সুধী দর্শক।