সিলেটে টিলা কেটে দরিদ্র মানুষজনকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অভিযোগে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সিলেটের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (পরিবেশ) মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা।
মামলায় আসামীরা হলেন, নগরীর হাওলাদারপাড়ার (জগদীশ টিলা) শশী মোহন দাসের ছেলে রূপক দাস (৩৫), ব্রাহ্মনশাসন এলাকার মতিলাল দাসের ছেলে বিনয় কুমার দাস (৪৫), হাওলাদারপাড়ার মৃত নরী দাসের ছেলে চন্দন দাস (৫৫) ও একই এলাকার কস্তর আলীর ছেলে মো. এরশাদ (৪২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আখালিয়া হাওলাদারপাড়া (জগদীশ টিলা) এলাকায় টিলা কেটে আর্থিক লেনেদেনের বিনিময়ে অসহায়-দরিদ্র মানুষজনকে ঘর বানাতে সহযোগীতা করছেন বিনয় কুমার দাস, চন্দন দাস ও মো. এরশাদ। সম্প্রতি ওই চক্রকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে টিলার অংশবিশেষ কর্তন করে টিলা ঘেষে টিন শেডের (টিনের দেয়াল দিয়ে) ঘর নির্মাণ করেছেন রূপক দাস। ঘরটি খুবই ঝুকিপূর্ণ এবং অতিবৃষ্টিতে টিলা ধ্বসে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় মামলা দায়েরের আদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে টিলা কেটে ঘর নির্মাণ ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পায় পরিবেশের কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনকে আসামী করে সিলেটের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (পরিবেশ) মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদ্প্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, টিলা কর্তন করে দখল ও ঘর নির্মাণ করার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি রেকর্ড আমলে নিয়েছেন।