রাত ১২টা ১ মিনিটে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পুস্পাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে সিলেটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
এরপর একে একে ৫২’র ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন, সিলেট জেলা পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও বাহান্নর ভাষা আন্দোলন একই সুত্রে গাঁথা। তারা, প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা বাংলা ভাষাকে সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে অফিস আদালতে বাংলা ভাষার চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
রাতের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে একুশের ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রভাতফেরি ও বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ক্বীন ব্রিজের পার্শ্ববর্তী সারদা হল থেকে প্রভাতফেরি শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হবে। এতে অংশ নেবে সিলেট জেলা প্রশাসন।
পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ পর্ব। এতে সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এসে মহান ভাষা সৈনিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ; কালেক্টরেট জামে মসজিদে বাদ জোহর মহান ভাষা সৈনিকদের জন্য দোয়া মাহফিল; ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ আরও নানা অনুষ্ঠান।
বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের আয়োজনে রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।