রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন,মণিপুর-ভারত ও বাংলাদশের একাডেমী ফর মণিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস (এমকা) সিলেট এর যৌথ আয়োজনে বসন্তরাস, মণিপুরী নটসংকীর্ত্তন, অরাংফম্, মোইবুং ও পূজাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গত ১২ এপ্রিল ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী কর্মশালার সফল সমাপ্তি হয়েছে।
রোববার (২৩ এপ্রিল) শুভ অক্ষয়া তৃতীয়ার তিথিতে ১৩৩তম খোংজোম দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তর্পণসহ অপরাপর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানাদিকল্পে মণিপুর রাজ্যের সর্বশেষ স্বাধীনতা যুদ্ধে খোংজোম নদীর তীরে মেজর পাওনা ব্রজবাশিসহ বীর শহিদদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় মণিপুরি রাজবাড়ির শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মণ্ডপে ‘ইন্দো-বাংলা বসন্তরাস উৎসব-২০২৩’ ও ১৩৩তম খোংজোম্ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এমকা, সিলেটের সভাপতি অ. দিগেন সিংহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সিলেটের সহকারী হাইকমিশনার নীরাজ কুমার জায়সওয়াল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রমোদ রঞ্জন সিংহ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যকরী সদস্য, সিলেট জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও মাহা’র স্বত্ত্বাধিকারী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন, মণিপুর-ভারতের স্পোক পার্সন ও ট্রেজারর তাখেল্লম্বম্ ইরাবত সিংহ, রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন, মণিপুর, ভারতের চিফ এডভাইজর ব্রহ্মচারীময়ুম্ আমুসানা শর্ম্মা ও রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন, মণিপুর, ভারতের জেনারেল সেক্রেটারি মোইরাংথেম্ অশোক সিংহ।
এমকা, সিলেট ও আর.বি.সি.এফ.এম এর পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দকে উত্তরীয় দিয়ে বরণের পর সম্মাননা স্মারক ও উৎসব স্মারক ব্যাচ প্রদান করেন এমকা’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যরা।
এর পরপরই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ এমকা, সিলেট ও আর.বি.সি.এফ.এম এর দু’টি স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে সদ্যপ্রয়াত সিলেট মণিপুরি পঞ্চায়ের কীর্ত্তনীয়া দোহার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এন. ব্রজেন্দ্র সিংহ’র আত্মার চিরশান্তি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এমকা, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শান্তনা দেবী। বক্তব্য দেন নাট্যজন উত্তম সিংহ রতন, সংগঠক ওয়াই. নৃপেন্দ্র সিংহ এবং বিশিষ্ট নৃত্য প্রশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার শর্মিলা বদোপাধ্যায়।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের প্রাক্কালে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মণিপুর, ভারত থেকে আগত ৩৬ জন প্রতিনিধিদেরকে এমকা’র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সমেন্দ্র সিংহ।