সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষিপ্ত পিকেটিং-এ চলছে দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস সিলেট ছাড়েনি। নগরেও তুলনামূলকভাবে যান চলাচল কম। এর ফলে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজার সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধাঘন্টা সেখানে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা।
এদিকে সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মানি পুর ও নগরীর কাজলশাহ, নাইওরপুল-কুমারপাড়া সড়কে পিকেটিংয়ের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। সকালে নগরীর শাহপরান এলাকায় পিকেটাররা একটি গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের ধাওয়া দেয়। এ ছাড়া সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায়ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন পিকেটাররা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচকে একটি খাদ্যপণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে এক পিকেটারকে আটক করে।
সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিলেট নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, রিকাবিবাজার, লামাবাজার, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, নাইওরপুল, সোবহানীঘাট, কদমতলী, ভার্তখলা, ঝালোপাড়া এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল কম।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। ভোর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশের অতিরিক্ত টহল দেখা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কসহ সব স্থানে পুলিশের কড়া নজরদারি আছে। এখন পর্যন্ত নগরে কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
এদিকে দুইদিনের অবরোধ কর্মসূচী সম্পর্কে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি করছে। সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত দেশের মানুষের স্বার্থে বিএনপি নানা কর্মসূচি দেবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।