সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস. এম শাহরিয়ার বলেছেন, মহামারি করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ দক্ষতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সীমিত লোকবল দিয়েই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়। তবে সম্মুখভাগে ডাক্তার-নার্স ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও এই সফলতায় সকল পেশার মানুষের অবদান রয়েছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ঈকোয়ালিটি সোসাইটি আয়োজিত জেলা পর্যায়ের টাউন হল মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ, ঝুঁকি নিরূপণ, যোগাযোগ সম্পৃক্ততা এবং টিকা-বার্তা যোগাযোগ জোরদারকরণ কর্মসূচির আওতায় এডাবের সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ঈকোয়ালিটি সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক রোকসানা বেগম। পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন এডাব কোঅর্ডিনেটর শওকত হোসেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আহমেদ শাহরিয়ারের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ. এস. এম আব্দুল ওদুদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাইমুন নাহার নাসরিন, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন বনিক, এওয়ার্ডের প্রোজেক্ট অফিসার সৈয়দ সেলিম হোসেন, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক সুলতানা আক্তার ফাইমা, শতদল সম্পাদক জুবায়ের আহমদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সিভিল সার্জন ডা. এস. এম শাহরিয়ার বলেন, করোনার শুরুতে বাংলাদেশে পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। এ ভাইরাস সম্পর্কে ভাল ধারণা ছিলনা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের। লোকবল ছিল অপর্যাপ্ত। ঔষধও ছিল না। অনেকটা অসহায় ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ; কিন্তু দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সীমিত লোকবল দিয়েই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বস্তিকর অবস্থায় আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আর সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যে অনেক দেশের আগেই করোনার টিকাও পেয়ে যায়।
সিভিল সার্জন শিশুদের করোনা টিকা গ্রহণে যথাযথ বিধি অনুসরণ ও সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উল্লেখ করে সবাইকে সচেতন হওয়ায় ও সতর্ক থাকার আহবান জানান। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডা. এস. এম শাহরিয়ার।