অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা। বন্যার এই ভয়াবহ রূপ নাড়া দিয়েছে পুরো দেশের মানুষকে। বন্যা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার।
মানুষের অসহায় অবস্থা দেখে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। শোবিজের বেশ কয়েকজন তারকাও সহযোগিতা করেছেন। তবে একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে নজর দিতে চাইছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি ।
তার মতে, মানুষ কোনো না কোনোভাবে বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে পারবে। কিন্তু অবলা পশুপাখি তো কিছুই বুঝতে পারবে না। মানুষের সহায়তা ছাড়া তো তারা বাঁচতে পারবে না। আর এই দুশ্চিন্তাতেই ঘুম নেই মাহির।
ফেসবুক লাইভে এসে মলিন চাহনিতে নায়িকা বলেন, ‘মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাঁচার চেষ্টা করবে। কিন্তু পশুপাখিগুলো অন্যের সহায়তা ছাড়া কীভাবে নিরাপদ হবে। এই নিয়ে টেনশনে রাতে আমার ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। আমার সামর্থ্য বা উপায় থাকলে, যত গরু–ছাগল, কুকুরসহ অন্য পশুপাখি রয়েছে, সব নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসতাম। তাদের সেভ জোন দিতে পারলে মনে শান্তি লাগত। আমার পশুপাখির প্রতি প্রচণ্ড মায়া। তাদের করুণ দশা দেখে খারাপ লাগছে। ভিডিওতে দেখলাম, অনেকে কুকুরকে সেভ করছে। এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।’
বন্যার্ত মানুষকেও সহযোগিতা করতে চান মাহি। তবে এতো বাজে পরিস্থিতিতে কীভাবে, কোন জায়গায় সহায়তা দেবেন, তা বুঝতে উঠতে পারছেন না নায়িকা।
তিনি বলেন, ‘সিলেটে বন্যার যে ভয়াবহ অবস্থা, আমাদের সবার যার যার জায়গা থেকে কিছু করা উচিত। আমরা সবাই সিলেট পছন্দ করি। অনেকে সিলেটের সৌন্দর্য দেখতে ঘুরতে গিয়েছেন। আমাদের সবার উচিত তাদের এই দুর্যোগে কিছু করা। শুরু থেকেই আমরা চিন্তা করছিলাম, কী করা যায়। এত বাজে অবস্থা! আমি বুঝে উঠতে পারছি না, এই সময় কীভাবে তাদের পাশে থাকা যায়। এই ব্যাপারে আমাদের সাজেস্ট করুন প্লিজ। আমরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে চাই।’
লাইভে মাহির সঙ্গে তার স্বামী রাকিব সরকারও ছিলেন। তিনিও স্ত্রীর সুরে কথা বলেছেন। রাকিবের ভাষ্য, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় কাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত, কারা অবহেলিত, কাদের প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত, আমাদের জানান। আমরা একটি টিম তৈরির কাজ করছি। আপনারা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করুন।’
মাহি ও তার স্বামীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন নায়িকা।