সিলেটের পর্যটন খাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত পর্যটন ম্যাপ। খুব শিগগির তা প্রকাশ করা হবে। যাতে পর্যটকরা সহজেই পর্যটন এলাকাগুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যেতে পারেন।
পর্যটন নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এমনই তথ্য জানান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘সিলেট জেলার পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটন উন্নয়নের জন্যে পর্যটন এলাকাগুলোকে আরও আকর্ষণীয় এবং পর্যটকদের জন্যে সেবার মান উন্নত করতে হবে। বাড়াতে হবে জনসচেতনতা। নিরাপত্তায় পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি প্রচুর প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োগ করতে হবে।
ইতোমধ্যে সিলেটের পর্যটনের উন্নয়নে গৃহীত বেশকিছু পদক্ষেপ তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেন, মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও যথাযথ বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন সম্ভবও হবে।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৌছিফ আহমেদ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পর্যটন পুলিশের পুলিশ সুপার আবুল বাশার আতিকুর রহমান, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট হোটেল এন্ড গেস্ট হাউস ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এ টি এম শোয়েব, সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ইমরান আহমদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কৌশিক সাহা, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মো আব্দুল হালিম, সিলেট জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহামেদ, পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক মোহারুল ইসলাম, উদ্যোক্তা উত্তম কুমার সিংহ, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির ও সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন সহ সুশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা মতামত ব্যক্ত করেন।