সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে দেশের প্রথম স্মার্ট মহানগর করতে চান সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন- ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী করেন এবং জনগণের রায়ে আমি নির্বাচিত হই তবে প্রকৃত অর্থে একটি ক্লিন, গ্রিন ও স্মার্ট সিলেট মহানগর গড়তে প্রাণপণ চেষ্টা চালাবো। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিলেট মহানগরের সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ। বিশেষ করে আপনারা সাংবাদিকদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে আক্ষরিক অর্থে একটি স্মার্ট সিলেট নগর গড়তে চেষ্টা করবো।’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত ১১টায় মহানগরের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব প্রত্যাশার কথা জানান।
সিলেটে যেসব উন্নয়ন দৃশ্যমান সেগুলো অপরিকল্পিত উল্লেখ করে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন- ‘বর্তমান মেয়র বিএনপির হলেও সিলেটের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’হাত খুলে বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা ছিলো মরহুম সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের। বর্তমান মেয়র তাঁর কাছে যখন যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। কিন্তু আজও পরিকল্পিত কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি নগরবাসীর।’
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিলেট অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল এবং সিলেট প্রতিদিনের সম্পাদক সাজলু লস্করের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে আনোয়ারুজ্জামান বলেন- মেয়র বিজয়ী হলে মহানগরের সব সমস্যা চিহ্নিত করে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে সিলেটকে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট মহানগর করবো ইনশা-আল্লাহ।
আগামীর সবটুকু সময় সিলেট মহানগরবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন উল্লেখ করে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন- ‘সিলেট-২ আসনে এমপি প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে একসময় থাকলেও জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিলেট সিটির মানুষের সেবায় কাজ শুরু করেছি। যদি মেয়র প্রার্থী কিংবা নির্বাচিত নাও হই তবু সিলেটের মানুষের পাশেই থাকবো সবসময়।’
এসময় বক্তৃতা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন এবং প্রশ্ন উপস্থাপন করেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আল আজাদ, সাবেক সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সদস্য মুকিত রহমানী ও ফখরুল ইসলাম, সৈয়দ রাসেল, সদস্য সাদিকুর রহমান সাকি, মো. রেজাউল হক ডালিম, রজত চক্রবর্তী, এ এইচ আরিফ, শাহজাহান সেলিম বুলবুল, শাকিল জামান ও আজহার উদ্দিন শিমুল।