সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকরের মিত্রিমহল গ্রামে নিরীহ লোকের সাড়ে ১২ একর জায়গা জবরদখল করতে চাইছে একটি ভূমিখেকো চক্র। এ চক্রের কারণে জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় আছেন জায়গার মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ অভিযোগ করেছেন মিত্রিমহল গ্রামের মশ্রব আলীর ছেলে ফেরাই মিয়া (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সালুটিকর মৌজার অন্তর্ভুক্ত মিত্রিমহলে ১৯৫৬ সালে ফেরাই মিয়ার সৎ মা হায়াতুন নেছা স্থানীয় ধনাই নামের একজনের কাছ থেকে সাড়ে ১২ একর জায়গা ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয় পরবর্তী জরিপে ওই জায়গা সরকারের খাসভুক্ত হয়ে গেলে ২০১৬ হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালত হায়াতুন নেছার পক্ষে রায় দেন।
এদিকে, মামলা চলাকালীন অবস্থায় হায়াতুন নেছা মারা যান। তাঁর অবর্তমানে মেয়ে ফরিজা বেগম মামলা পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ফরিজা বেগমও মারা গেলে তাঁর ছেলে আলী আহমদ এ মামলা চালিয়ে যান। একপর্যায়ে আদালতের রায় তাদের পক্ষে আসে। রায়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে এ জায়গা ভোগদখলে কোনো আইনি বাধা না থাকলেও স্থানীয় একটি ভূমিখেকো চক্রের লোলুপ দৃষ্টি এ জায়গার ওপর পড়ে।
ফেরাই মিয়া সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মিত্রিমহল গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে কলমধর আলী ওরফে মজম্মিল আলী, মৃত আব্বাস আলীর ছেলে হানিফ আলী, মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে চাঁন মিয়া ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ওই ভূমিখেকো চক্রের নেতৃত্ব দেন। তারা ফেরাই মিয়াদের সাড়ে ১২ একর জায়গা জবরদখল করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। তাদের কারণে ফেরাই মিয়ারা তাদের জায়গায় কিছু করতে পারছেন না। ওই জায়গায় গেলেই ভূমিখেকো চক্র ফেরাই মিয়াদের মারধর করাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এমনকি ফেরাই মিয়াদের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এছাড়া ভূমিখেকো চক্রটি ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।
এ অবস্থায় ফেরাই মিয়াসহ হায়াতুন নেছার ওয়ারিশানরা ওই ভূমিখোকো চক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে এবং তারা তাদের জায়গা নির্বিঘ্নে ভোগদখল করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।