ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জসওয়াল বলেছেন, সংগীত একটি সাধনা, এই সাধনাই শিল্পীদের সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছায়। সিলেট ললিত কলা একাডেমী সুস্থধারার সংগীত সাধনার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে যারা সংগীত চর্চা করছেন, তাদের মেধা ও যোগ্যতা অসাধারণ। এ
তিনি সিলেট ললিত কলা একাডেমীর অধ্যক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ বিপ্রদাশ ভট্টাচার্য্যরে সংগীত সাধনার প্রশংসা করে বলেন, তার শিক্ষার্থীরা দক্ষ শিক্ষকের শিক্ষাগ্রহণ করে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। তিনি তার সংগীতের সাধনা অবিচল থাকার কামনা করে তার ছাত্র-ছাত্রীদের আরো ভাল সাফল্য কামনা করেন।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট ললিত কলা একাডেমী উদ্যোগে নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটরিয়ামে আয়োজিত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিলেট ললিত কলা একাডেমীর অধ্যক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ বিপ্রদাশ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও ঋতশ্রী দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেটের জেলা প্রশাসকের পক্ষে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ.এস.এম কাশেম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বেতার সিলেট এর আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভুইয়া, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য মোসাদ্দেক বাবুল, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সিলেট বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক এম আহমদ আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশন করেন, দক্ষিণ ভারতের রাব্বা মিডিয়া কর্তৃক বিশ্বব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ১ম স্থান ও স্বর্ণপদপ্রাপ্ত রোহিত দত্ত চৌধুরী, বিভাগীয় পর্যায়ে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে ১ম স্থান অর্জনকারী সামিয়া সালসাবিল ইকরা, ললিত কলা একাডেমীর শিক্ষার্থী সপ্তদীপা দেব রায় অতি, বিভাগীয় পর্যায়ে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বিষয়ে ১ম স্থান অর্জনকারী হরিপ্রিয়া দেবী পুজা, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিহা আহমেদ, ২০২২ সালে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে আইসিসিআর স্কলাশীপ প্রাপ্ত জাতীয় পুরস্কার অর্নিসা দাশ পর্ণা, যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন অলক দে। পরে সমবেত কণ্ঠে শিক্ষার্থীরা খেয়াল পরিবেশন করেন।
সবশেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট ললিত কলা একাডেমীর সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তবলায় ছিলেন, বাপ্পী গোস্বামী, তানপুরায় ছিলেন পদ্মশ্রী দে, তাসপিয়া কান্তা পিয়াতা, শতাব্দী দাশ প্রমুখ।